প্রশ্ন ও জিজ্ঞাসা
আত্মতত্ত্ব বিজ্ঞান বিষয়ক প্রশ্ন ও উত্তর
আমি কে ?
আমি চিন্ময় আত্মা,স্থুল জড় দেহ নেই।
আত্মা কি?
জীবাত্মা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিত্য অবিচ্ছেদ্য অংশ।
আত্মার নিত্যধর্ম কি?
ভগবান পূর্ণ আত্মা তার অংশ তাই জীবাত্মার নিত্য ধর্ম হচ্ছে ভগবানের সেবা করা কেন না অংশের কাজ হচেছ পূর্ণের সেবা করা।
মনের ধর্ম কি?
মনের ধর্ম সংকল্প ও বিকল্প।
দেহের ধর্ম কি?
দেহের ধর্ম ভোগ আর ত্যাগ।
দেহের ছয়টি পরিবর্তন কি কি?
জন্ম বৃদ্ধি স্থিতি সন্তান সন্ততি সৃষ্টি ক্ষয় মৃত্যু।
জীবের কাজ কি?
জীবের স্বরুপ হয় কৃষ্ণের নিত্যদাস
আত্মার আকার কি?
আত্মার আকার চুলের অগ্রভাগের দশ হাজার ভাগের এক ভাগ। তা এতই ক্ষুদ্র যে এই চোখ বা যন্তের সাহায্যে আত্মাকে দর্শন করা যায় না। এ ছাড়া আত্মা জঢ় পদার্থ নয় তাই জড়ীয় ইন্দ্রিয় ও যন্ত দিয়ে তা দেখা অসম্ভব।
জড় জগৎ কি?
জড় জগৎ ভগবানের বহিরাঙ্গা এগণাত্মিকা মায়া শক্তির প্রকাশ
প্কি কি উপাদান দিয়ে জড়জগৎ তৈরী হয়েছে?
ভূমি জল বায়ু অগ্নি আকাশ মন বুদ্ধি এবং অহংকার এই আটটি উপাদান দিয়ে এই জড় জগৎ তৈরী হয়েছে।
পন্ঞ্চ মহাভূত কি?
ক্ষিতি অপ তেজ মরুৎ ও ব্যোম।
ইন্দ্রিয়ের পাঁচটি বিষয় কি ক?ি
উঃ রুপ রস শব্দ গন্ধ র্স্পশ।
প্রঃপন্ঞ্চ জ্ঞানেন্দ্রিয় কি কি
উঃ নাক জিভ চোখ কান ও ত্বক
প্রঃ পন্ঞ্চ কমেন্দ্রিয় কি
উঃবাক পানি পাদ উপস্থ পায়ু
প্রঃ স্থূল শরীরচি কি কি উপাদান দিয়ে তৈরী
উঃজীবের স্থূল শরীরটি ভূমি জল বায়ু অগ্নি ও আকাশ দিয়ে তৈরী
প্রঃজীবের মৃত্যুর পর তার কি গতি হয়
উঃ জীবের মৃত্যুর পর দুই প্রকার গতি হয়
এক যে সমস্ত জীর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট আত্মসর্মপন করে তারা ভগবদ্ভজনের প্রভাবে সমস্ত জড় কলুস ঞেকে মুক্ত হয়ে সিত্য আলয় ভগবদ্ধামে গমন করে। সেখানে তারা দিব্য শরীল প্রাপ্ত হয়ে সিত্যকালের জন্য ভগবানের সেবায় নিযুক্ত হয়।
দুই যাদের জড়জাগতিক কামনা বাসনা আছে তারা মৃত্যুর মাধ্যমে ক্ষিতি অপ তেজ মরৎ ও ব্যোত দিয়ে তৈরী স্থুল শরীী পরিত্যাগ করে। কিন্তু মন বুদ্ধি ও অহংকার নির্মিতসূক্ষ্ম শরীল তাদের পাপ ওপূর্ণ কর্মফল বহন করে। পাপ কর্মের ফলস্বরূপ তার মরণ যমযাতনা ভোগ করে আর পূর্ণ কর্মের ফলস্বরুপ স্বগসুখ ভোগ করে থাকে। এই ভোগের পর তাদের নিজ নিজ কর্মও চেতনা অনুসারে তারা আর একটি স্থুল জড় শরীর প্রাপ্ত হয়। এভাবে ৮৪ লক্ষ জীব প্রজাতির যে কোন একটি প্রজাতিতে তাদের জন্মগ্রহন করতে হয়।
প্রঃদেহ ও আত্মার পার্থক্য কি
উঃ জড় বস্তুর দ্বার নির্মিত শরীর সদা পরিবর্তনশীল নশ্বর বিনাশশীল অনিত্য স্থুল বহিরঙ্গা কড়া প্রকৃতির সৃষ্ট্ জড়দেহ অচেতন পরিমাপযোগ্য তাকে কাটা যায় শুকানো যায় পোড়ানো যায় ভেজানো যায় তা দুঃখ ক্লেশের আধার স্বরুপ্
আত্মা াপরিবর্তনশীল অব্যয় অক্ষয় অবিনশ্বর নিত্য সনাতন সূক্ষ্ম অপরিমেয় ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ চেতন ইচ্ছেদ্য অদাহ্য অক্লেদ্য অমশাষ্য সর্বব্যাপ্ত আনন্দময়।
প্রঃ আত্মা শরীরের কোন স্থানে অবস্থান করে
উঃ আত্মা শরীরের হৃদ্দেশ অবস্থান করে
প্রঃদেহে আত্মার অবস্থানের লক্ষন কি
উঃ দেহে আত্মার অবাস্থেনের লক্ষণ দেহে পরিব্যাপ্ত চেতনা। যে পর্যন্ত একটি দেহে আত্ম্র উপস্থিতি থাকে সে পর্যন্ত ঐ জীর দেহে চেতনা প্রকাশিত থাকে । আত্মা দেহ থেকেনিষ্ক্রানত হলে দেহ একটি অচেতন পচনশীল জড়পিন্ডে পরিণত হয়।
প্রঃজীব কয় প্রকারের
উঃ জীব তিন প্রকারের ১ নিত্যবদ্ধ ২ নিত্যমুক্ত ৩ বন্ধনমুক্ত।
ভগবদবিমুখ জীব যারা এই জগতেমায়াশক্তির প্রভাকে কদ্ধ হয়ে আছে ও জড়া প্রকৃতির তিনগুণের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে তাদেরকে নিত্যবদ্ধ জীব বলা হয়।
যে সমস্ত জীব অনাতি কাল থেকে মুক্ত অবস্থায় ভগবদ্ধাতে অবস্থান করছেন তাদেরকে নিত্যমুক্ত জীব বলা হয়।
যে সমস্ত জীর ভগবদ্ভজন করে এই বদ্ধ াবস্থা থেকে দুক্ত হয়ে চিন্তয় জগতে পবেশে উন্মুখ তাদেরকে বন্ধনমুক্ত জীব বলা হয়।
প্রঃএই জড় জগতে কত প্রকার জীব প্রজাতি রয়েছে তাদের বর্ণনা দাও
উঃ এই জড় জগতে ৮৪ লক্ষ জীবে যোনী রয়েছ্ এদের মধ্যে কীটপতঙ্গ ১১ লক্ষ উদ্ভিদ ২০ লক্ষ পশু ৩০ লক্ষ পক্ষী ১০ লক্ষ এবং মানুষে মধ্যে রয়েছে ৪ লক্ষ প্রজাতি।
প্রঃ জীবের প্রকৃত সমস্যা বা দুঃখ কি
উঃ জীবের প্রকৃত সমস্যা হচ্ছে জন্ম মৃত্যু জরা ব্যাধি
প্রঃজীব চেতনা কয় প্রকার ও কি কি
উঃ পাঁচ প্রকার
১আচ্ছাদিত চেতনা ‘’পাহাড় ব্রক্ষ আদিতে যে চেতনা তাকে আচ্ছাদিত চেতনা
২ সংকুচিত চেতনা ‘’পশু পাখি হচেছ সংকুচিত চেতনা জীব
৩মকুলিত চেতনা ‘সাধারণ মানুষ হচ্ছে মকুলিত চেতন
৪ বিকাশিত চেতন ‘মানুষের মধ্যে যাঁরা ভগবদ্ভজনে নিযুক্ত হয়েছেন তারা বিকাশিত চেতন
৫ পূর্ণ বিকাশিত চেতন ‘আর ভগবদ্ভজনে যাঁরা সিদ্ধি লাভ করেছেন তাঁদের চেতনাকে পূর্ণ বিকাশিত চেতনা বলা হয়।
প্রঃ পুনর্জন্ম কি
জীবাত্মা যে শরীরের মধ্যে অবস্থান করে সেই শরীর কৌমার থেকে যৌবন যৌবন থেকে বার্ধক্য অবস্থায় ক্রমানয়ে পরিবর্তিত হতে থাকে। কিন্তু দেহস্থ আত্মার কোন পরিবর্তন হয়না। ঠিক যেমন পুরানো কাপড় পরিত্যাগ করে নূতন কাপড় পরিত্যাগ করে তার কর্ম এবং বাসনা অনুসারে আরেকটি নূতন শরীর গ্রহন করে। আত্মার এই নূতন মরীর গ্রহন করে। আত্মার এই নূতন শরীর ধারণকে বলা হয় পুনর্জন্ম।
প্র্রঃ কর্মবন্ধন কি
জীক এউ জগতে বিভিন্ন প্রকারের জড় কামনা বাসনা নিয়ে কর্ম করে থাকে।কিন্তু সে তার প্রতিটি কৃতকর্মের ফলভোগ করতে বাধ্য থাকে। সেই কর্ম অনুসারে তাকে বরাবর জড় শরীর ধারণ করতে হয়। নূতন শরীল সে নূতন কর্ম করে ও এসব কর্মের ফল ভোগের জন্য আবার তাকে জন্ম নিতে হয়। এ রকম চলতেই থাকে । এই রূপ বদ্ধ অবস্থাকে বলা হয় কর্ম বন্ধন।
প্রঃজীবের চরম লক্ষ কি
পরমশ্বের ভগবানের সাথে তার হারানো সর্ম্পককে পুনঃস্থাপন করে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তিমূলক সেবায় নিযুক্ত হওয়া কৃষ্ণপ্রেম লাভ করা
প্রঃঅহংকার কয় প্রকার ও কি কি
অহংকার দুই প্রকার ১। সত্য অহংকার ২। মিথ্যা অহংকার । আমি চিন্ময় আত্মা কৃষ্ণের নিত্যদাস এরকম ভাব নিয়ে কৃষ্ণের প্রীতিবিধানের উদ্দেশ্যে কর্ম করা হয় সেই ভাবকে বলা হয় সত্য অহংকার। আমি এই জড় শরীর এবং আমার শরীর প্রীতিবিধানের জন্য আমি কর্ম করব এরকম অহংকারকে বলা হয় মিথ্যা অহংকার।
প্রঃ প্রেয় ও শ্রেয় কি জীবনে প্রেয় লাভ করা না শ্রেয় লাভ করা শ্রেষ্ঠ
উঃ যা অল্প সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত হওয়া যায় কিন্তু ক্ষণস্থায়ী এবং অন্তিমে দুঃখজনক তাকে বলা হয়ে থাকেপ্রেয় ।
যা লাভ করা পরিশ্রম সাপেক্ষ কিন্তু চিরস্থায়ী এবং সুখদায়ক তাকে বলা হয় শ্রেয় ।
আমাদের জীবনে শ্রেয় লাভ করাই শ্রেষ্ঠ।
প্রঃ জীবনে প্রকৃত শ্রেয় কি বর্ণনা কর
জীবনে প্রকৃত শ্রেয় হচ্ছে নিজের স্বরূপ প্রাপ্ত হয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণাবৃন্দে অহৈদুকী ভক্তিভাবে তাঁর সেবায় যুক্ত হওয়া
প্রঃভগবান কে
শ্রীকৃষ্ণ হচ্ছেন ভগবান যাঁর থেকে সমস্ত বিশ্বব্রক্ষান্ড সৃষ্টি হয়েছে। যিনি সমস্ত বিশ্বব্রক্ষান্ডের পালন করেন এবং সংহারের কারণ হন তিনিই হচ্ছেন ভগবান।
প্রঃভগবান শব্দের অর্থ কি
যাহার মধ্যে সমগ্র ঐশ্বর্য্র বীর্য যশ শ্রী জ্ঞান ও বৈরাগ্য এই ছয়টি গুণ রয়েছে তিনিই ভগবান।
প্রঃভগবান সাকার না নিরাকার
ভগবান সাকার তার রূপ রয়েছে তবে তা জড় নয় অপ্রাকৃত। শ্রীকৃষ্ণ হচেছন সচ্চিদানন্দ বিগ্রহ তিনি নিত্য জ্আন ও আনন্দময় মূর্তিবিশিষ্ট।
প্রঃ কয় প্রকারের যোগী রয়েছেন
যোগী চার প্রকার কর্মযোগী জ্ঞানযোগী ধ্যানযোগী ভক্তিযোগী।
প্রঃ কোন প্রকার যোগী নিরাকার ব্রক্ষের উপাসান করেন
জ্ঞানযোগী নিরাকার ব্রক্ষের উপাসান করেন।
প্রঃ কোন প্রকার যোগী হৃদয়ে পরমাত্মার ধ্যান উপাসনা করেন
ধ্যানযোগী ধ্যানের মাধ্যমে পরমাত্মার উপাসনা করেন
প্রঃ কোন প্রকার যোগী সরাসরি ভগবানের উপাসনা করেন
ভক্তিযোগ অবলম্বনকারী ভগবানের ভক্তরাই ভগবানের উপাসনা করেন
প্রঃভগবান যে আছেন তার প্রমাণ কি
ভগবানের অস্তিত্বের প্রমাণ লাভ করবার জন্য আমাদের শাস্ত্রের সাহায্য গ্রহন করতে হবে । শাস্ত্র থেকে আমরা বুঝতে পারব যে ভগবান আছেন । ভগবান হচ্ছেন তিনি যিনি এই বিশ্ব ব্রক্ষান্ডের সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ের কারণ। যিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন।
প্রঃ ভগবানের সংগে জীবের সম্পর্ক কি
ভগবানের সংগে জীবের সম্পর্ক হচেছ ভগবান নিত্যপ্রভু এবয় জীব তাঁর নিত্যদাস।
ভগবানের সংগে জড় জগতের সম্পর্ক কি কেন সৃষ্টি করেছেন
জড়জগৎ হচে্ছ ভগবানের অনুৎকৃষ্টা বহিরঙ্গা শক্তির থেকে উৎপন্ন ।
প্রথম কারন এই জড় জগৎহচ্ছে সমস্ত চিন্ময় সৃষ্টির একাংশে অবস্থিত ক্সুদ্র কারাগার সদৃশ । তাই যারা ভগবানের প্রদত্থ নিয়ম ভঙ্ঘ করে তাদেরকে এই জড় জগতে আসতে হয় । এখানে বহিরঙ্ঘা শক্তি দূর্গাদেবী জড় জগৎরূপ দূর্গের দেখাশুনা করেন এবং তিতাপ কেলশ দিয়ে জীবক শাসন করে শিক্ষা প্রদান করে থাকেন।
দ্বিতীয় কালণ ভগবান এইজড় জগৎ এইজন্য সৃষ্টি করেছেন যে জীব যেন তার মিথ্যা প্রভুত্ব করার আকাঙ্ক্ষা ও ভোগবাসনা পরিত্যাগ করে ভগবদ্ভজনের মাধ্যমে ভগবদ্ধামে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে আবার ফিরে যেতে পারে।
প্রঃ ভগবান কোথায় থাকেন
এই জড়জগতের বাইরে চিন্ময় জগৎ বা বৈকুন্ঠলোক আছে যেখানে ানেক গ্রহলোক আছে। বৈকুন্ঠ দ্বারকা বৃন্দাবন ইত্যাদি ভগবান বিভিন্ন ভগবৎ স্বরূপে অবস্থানকরেন। একই সংগে তিনি পরমাত্মা রূপে সর্বএ প্রত্যেকটি অনুপরমানু ও প্রত্যেকেটি জীবের হৃদয়েও বাস করে থাকেন।
শ্রীকৃষ্ণ ও বিষ্ণুর মধ্যে পার্থক্য কি
শ্রীকৃষ্ণ ও বিষ্ণুর মধ্যে তও্বতঃ কোন পার্থক্য নেই। তবে শ্রীকৃষ্ণ গোলক বৃন্দাবনে থাকেন এবং শ্রীবিষ্ণু বৈকুণ্ঠধামে বিরাজ করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণরূপে গোলক বৃস্দাবনে মাধুর্য্য রস আস্বাদন করে থাকেন এবং তিনিই বৈকুণ্ঠে শ্রীবিষ্ণুরূপে ঐশ্বর্যরস আস্বাদন করে থাকেন। ঠিক যেমন একটি লোক যখন আদালতে বিচারক তখন সে খুব গম্ভী সব্ু তাকে সম্ম্ন করেন এবং তিনি যা আদেশ দেন সবাই তা পালন করতে বাধ্য থাকেন। কিন্তু সেই লোক যখন গৃহে ফিরে আসেন তখন তাঁর নাত নাতনিরাতাঁর সংগে খেলাধূলা করে। সেখানে কোন সম্ভ্রমের ভাব থাকে না । ঠিক তদ্রূপ ভগবান বিষ্ণরূপে যখন বৈকুণ্ঠে থাকেন তখন তিনি তাঁর ভক্তদের সংগে সম্ভ্রম ভাবে অবস্থান করেন। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সংগে আরও ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত হতে গেলে শুদ্ধ কৃষ্ণ প্রেম বিকাশিত করে গোলক বৃন্দাবনে যেতো হয়। সেখানে ভগবানের সংগে জীব সখ্য রসে বাৎসল্য রসে কিংবা মধুর রসে সম্পর্ক সাথপন করে ভগবানের আরও ঘনিষ্ঠ ও নিকটতম হয়ে প্রেমময় সেবাসুখ আস্বদন করতে পারেন।
প্রঃভগবানকে লাভকরার যথাযথ উপায় কি
শাস্ত্রে বিভিন্ন উপায় বর্ণানা করা হয়েছে যথা কর্মযোগ জ্ঞানযোগ ধ্যানযোগ কিত্তু প্রকৃত পক্ষে ভগবানকে লাভ করার একমাএ সহজ উপায় হচ্ছে ভক্তিযোগ । ভক্তির দ্বারাই কেবল ভগবানকে লাভ করা যায়।
ভগবদ্ভক্ত সঙ্গেন উপজায়তে অর্থাৎ ভগবানের ভত্তের সঙ্গ করার মাধ্যমে ভগবদ্ভক্তি লাভ করা যায়।
প্রঃনবধা ভক্তি কি কি
শ্রবণ কীর্তন স্মরণ বন্দন অর্চন পাদসেবন দাস্য ও আত্মনিবেদন।
প্রঃকামাও প্রেম কাকে বলে
আত্মেন্দ্রিয় প্রীতি বান্ঞ্ছা তারে বলে কাম।
কৃষ্ণেণ্দ্রিয় প্রীতি ধরে প্রেম নাম
নিজের ইন্দ্রিয় তৃপ্তি বিধানের জন্য যে বাসনা তাকে বলে কাম। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রীতি বিধানের জিন্য যে বাসনা তাকে বলে প্রেম। জীবের অন্তরে রয়েছে শুদ্ধ ভগবঃ প্রেম । জীব যখন জড় জগতে পতিত হয় তখন তাঁর শুদ্ধ ভগবৎ প্রেম বিকৃত কামে পরিনত হয়।
প্রঃ জীবের দুঃখের মূল কারণ কি
জীবের দুঃখের কারণ কৃষ্ণবিস্মতি। জীব যখেন কৃশ্ণের সংগে তার নিত্য সম্পকের কথা ভুলে যায় তখন তার নিত্য স্বরূপ চিন্ময় আত্মা এ বিযয়ে বিস্মৃতির ফলে এবয় এই দেহকে আত্মবুদ্ধি করার ফলে এ জগতে জীব নিয়ত দুঃখে জর্জরিত হয়।
প্রঃ অষ্টাঙ্গ যোগ কি
যম নিয়ম আসন প্রাণায়াম প্রত্যাহার ধারণা ধ্যান ও সমাধি।এই আট প্রকার যোগ পদ্ধতিকে বলা হয় অষ্টাঙ্গযোগ।
প্রঃযে কোন দেবতাকে পূজা করে কি ভগবান শ্রীকৃষ্ণক লাভ করা যায়
যে দেবতাকে আমরা পূজা করব আমাদের দেহান্তে সেউ দেবলোকেই আমরা যাবো। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ লাভ করতে হলে অবশ্যই ভগবান মুকুন্দের শরণাগত হয়ে তাঁর সেবা করতে হ।ে তবেই ভগবানকে লাভ করা যাবে।
প্রঃশ্রীকৃষ্ণকে লাভ করবার জন্য কলিযুগে কেন পন্থা সর্বোকৃষ্ট
শ্রীকৃষ্ণকে লাভ করবার জন্য কলিযুগে ” হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র” কীর্তন করাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
প্রঃ ভগবানকে ভজনা করলে পিতামাতার সেবা হয় কি
ভগবানের ভজনা করলে পিতামাতরও সেবা হয়। কেবলমাএ পিতামাতা নয় মুনি দেবতা সকলের সেবা হয়ে থাকে। যেহেতু ভগবানের কাছ ঞেকে সবকিছু সৃষ্টি হয়েছে তাই ভগবান হচ্ছেন সবকিছুর মূল।যে ভাবে গাছের গোড়ায় জল দিলে তার শাখা প্রশাখা পত্র পুষ্প সবই পরিপুষ্ট হয় এবঙ উদরকে খাদ্য দিলে যেমন সমস্ত অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি পুষ্ট হয় ঠিক সেইরূপ ভগবান সন্তুষ্ট হলে সবাই তুষ্ট হন। কিন্তু সবারেই উচিত নিজের মা বাবার সেবা করা। যদিও ভগবানকে তুষ্ট করলে মাবাবার সেবা হয় তবুও আমাদের উচিত মাবাবার সেবা করা কারন ভগবান শ্রীকৃষ্ণও নিজের মা বাবার সেবা করেছেন ।
মানুষের কেমন খাদ্য আহার করা কর্তব্য
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং ভত্তি সহকারে আমাকে পত্র পুষ্প ফল জল প্রভৃতি অপর্ণ করলে আমি তা গহেন করে থাকি। এভাবে তিনি নিরামিষ খাদ্যবস্তুর কথা বলেছেন। আর যেহেতু যেকোন ধরনের প্রাণি হত্যা মহাপাপ আর জেনে শুনে প্রাণী তথা মাছ মাংস হত্যা করে না খাওয়াই উত্তম হবে।
প্রঃ যর্থাথ জ্ঞাণ কাকে বলেে
আমি এই শরীর নই ইম চিন্ময় আত্মা ভগবানের নিত্য অংশ । এইটি জানাকে বলা হয় যর্থাত জ্ঞাণ
আত্মোপলব্ধির প্রথম সোপান কি
আমি এই দেহ নই আমি হচ্ছি চিন্ময় আত্মা ভগবানের নিত্য অংশ এইটিকে জানা।
প্রঃ গুনের প্রভাব থেকে মুক্তির লাভ করা যায়
গুণের প্রভাব আমরা যা কর্ম করি সেই কর্ম যদি ভগবানের উদ্দেশ্যে অর্পিত হয় তাহলে আস্তে আস্তে আমরা গুনের প্রভার থেখে মুক্ত হতে পারি
৪টি যুগের নামকি
সত্য ত্রেতা দ্বাপর ও কলি
প্রঃ বিভিন্ন যুগে ভগবানকে লাভ করবার উপায় কি
সত্যযুগে ভগবানকে লাভ করবার উপায় হচ্ছে ধ্যান । ত্রেতা যুগে যজ্ঞ দ্বাপর যুগে অর্চনা আর কলিযুগে হরিনাম সংকীর্তন
”হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে”
প্রঃ ভক্তিযোগ বা কৃষ্ণনামের পূর্ণফল লাভের জন্য আমাদের করণীয় কিিআমাদের চারটি পাপকর্ম ঞেকে বিরত থাকতে হবে যথা আমিয়াহার দ্যুতক্রীড়া নেশা পান ও অবৈধ নারী সঙ্গ
প্রঃ কৃষ্ণনামে কি ফল
কৃষ্ণনামের ফল হচ্ছে কৃষ্ণপ্রেম লাভ করা যায়। ফলে পরমাত্মার সহিত যোগাযোগ স্থাপন করা যায় । এর ফলে সহেজেই মুক্তি লাভ করা যায় ।
Subscribe to:
Posts (Atom)
good
ReplyDelete💓
ReplyDeleteজীব প্রজাতি ৮৪লক্ষ,এর মধ্যে ৭১লক্ষের বর্ননা দেওয়া হয়েছে।জলজ প্রজাতি ৯লক্ষ এটা উল্লেখ করা হয়নি।
ReplyDelete